কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠাপানির মাছের সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। বিভিন্ন উপজেলার ঘাটগুলোর শত শত বছরের ঐতিহ্য রয়েছে মিঠাপানির সুস্বাদু মাছ আহরণের। তাই মাছের বাজার ও আড়ৎ এর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। নানাপ্রকার দেশীয় ও বিলুপ্তপ্রায় মাছের বেচাকেনা হয় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা মাছ বাজারে। চামটাঘাট বন্দরেও চলে বেচাকেনা। এরপর এখান থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ বাজারে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা মাছ বাজারের ঐতিহ্য রয়েছে প্রায় দেড়শ’ বছরের। ভোর থেকে জেলেরা বোয়াল, আইড়, চিতল, রুই, কাতলা, বাইন, কালবাউশ, পাবদা, কই, মাগুর, শিং, চিংড়ি, রিটা, গোলশা, শোল, কাচকি, টাকি ও পুঁটিসহ অন্তত অর্ধশত দেশীয় প্রজাতির মাছ এ বাজারে নিয়ে আসেন। হাওরের মিঠা পানির নানান জাতের ছোট মাছের মধ্যে রয়েছে টেংরা, বাইন, মেনি, টাকি, কাইক্কা, পুঁটি, চিংড়ি ও চাপিলা মাছ। বড় মাছের মধ্যে রয়েছে বোয়াল, কার্প, মৃগেল, বাউশ ও শালমাছ। এছাড়া শিং মাছ ও বিলুপ্তপ্রায় রাণীমাছও পাওয়া যায়। এছাড়াও বন্দরনগরী ভৈরবের রাতের মাছের আড়ৎ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মাছের আড়ৎ হিসেবে পরিচিত। ভৈরব মেঘনা নদীর তীর ঘঁষে পলতাকান্দা ও মেঘনা ফেরিঘাটের মধ্যবর্তী স্থানে মাছের আড়ৎ রয়েছে। কিশোরগঞ্জ-এর বিস্তৃত হাওড় অঞ্চলের এবং মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, আড়িয়াল খাঁসহ সহ অন্যান্য নদ-নদী ও খাল বিলের বিপুল পরিমাণ আহরিত দেশীয় মাছের বিশাল পাইকারী আড়ৎ হিসেবে ভৈরবের সুনাম রয়েছে। এখানে ২ শতাধিক মাছের আড়ৎ রয়েছে। কোন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়া তরতাজা মাছ ও সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য দূরদূরান্ত থেকে এমনকি রাজধানী ঢাকা থেকেও ক্রেতারা আসেন। এ আড়ৎকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে শতাধিক বরফ কল, হোটেল, বিভিন্ন মনোহারি প্রসাধনীর দোকান। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার লোকের।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS